রুকইয়াহ বিষয়ে বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের উত্তর
ব্যবহারিক অর্থে রুকইয়াহ শারইয়াহ বলতে ‘ইসলামসম্মত ঝাড়ফুঁক’ বুঝায়। রুকইয়ার পারিভাষিক অর্থ হল, “কোরআনের আয়াত, আল্লাহর নামের যিকর, হাদিসে রাসূল ﷺ অথবা সালাফে সালেহীন থেকে বর্ণিত দোয়া পাঠ করার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে কোন বিপদ থেকে মুক্তি চাওয়া কিংবা রোগ থেকে আরোগ্য কামনা করা।” একদম সহজে বললে, রুকইয়াহ হলো বদনজর, জ্বীন, যাদু ইত্যাদি প্যারানরমাল সমস্যার পাশাপাশি কিছু শারিরীক-মানসিক রোগের জন্য ইসলাম সম্মত ঝাড়ফুক। এই চিকিৎসায় সাধারণত কুরানের আয়াত ও হাদীসে বর্ণিত দুয়া পড়ে সরাসরি ঝাড়ফুঁক করা হয়, অথবা পানি, মধু, তেল ইত্যাদিতে ফুঁ দিয়ে ব্যবহার করতে বলা হয়।
রাকীকে দিয়ে রুকইয়াহ করানো ছাড়া নিজের বা পরিবারের জন্য নিজেই রুকইয়াহ করা যায়। আর এটাকেই সেলফ রুকইয়াহ বলে।
না। আগের কবিরাজ, তান্ত্রিক, জিনহুজুর ইত্যাদির কাছে যাওয়ার জন্য তওবা করে আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে, তদবিরের জিনিসপত্র ও তাবিজকবচ সব নষ্ট করে এরপর রুকইয়াহ শুরু করবেন।
একটা পাত্রে পর্যাপ্ত পানি নিয়ে সিহরের আয়াত ও তিনকুল ৩বার করে পড়ে ফুঁ দিন। এরপর তাবিজ বা জাদুর জিনিস একত্র করে সেখানে ডুবিয়ে রাখুন। তাবিজের থেকে কাগজ, সুতা, পিন ইত্যাদি বের করুন, সব গিট কেটে ফেলুন, কাগজ ছিঁড়ে ফেলুন। এরপর সব ভালোভাবে পানিতে ডুবিয়ে নষ্ট করুন। সবশেষে এগুলো পরিত্যক্ত স্থানে ফেলে দিন। আর সম্ভব হলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলুন। জাদুর জিনিস খালি হাতে ধরবেন না, আর নষ্ট করার সময় বারবার সুরা ফালাক-নাস পড়ুন।
সুরা আরাফ ১১৭-১২২, সুরা ইউনুস ৮১-৮২ এবং সুরা ত্বহা ৬৯নং আয়াত – এগুলোকে সিহরের আয়াত বলে। এর সাথে সুরা বাকারা ১০২নং আয়াতও পড়া যায়।
আয়াতে শিফা মোট ৬টি। সূরা তাওবাহ ১৪, ইউনুস ৫৭, নাহল ৬৯, বনি ইসরাইল ৮২, শু’আরা ৮০, হা-মিম সাজদা ৪৪নং আয়াত।
আয়াতুস সাকিনা মোট ৬টি। সূরা বাকারা ২৪৮, সূরা তাওবা ২৬ এবং ৪০, সূরা ফাতহ ৪, ১৮ এবং ২৬নং আয়াত।
প্রসিদ্ধ যেসব আয়াত দিয়ে সাধারণভাবে সব রোগব্যাধি ও সমস্যার জন্য রুকইয়াহ করা হয়, সেগুলোকে রুকইয়ার কমন আয়াত বলে। কমন আয়াতগুলোর পিডিএফ উল্লেখিত ডাউনলোড পেজে পাওয়া যাবে। আর এগুলোর রেকর্ড শুনতে চাইলে অডিও ডাউনলোড পেজে “বিভিন্ন ক্বারিদের সাধারণ রুকইয়াহ” অংশে পাবেন।
ব্যবহারিক অর্থে রুকইয়াহ শারইয়াহ বলতে ‘ইসলামসম্মত ঝাড়ফুঁক’ বুঝায়। রুকইয়ার পারিভাষিক অর্থ হল, “কোরআনের আয়াত, আল্লাহর নামের যিকর, হাদিসে রাসূল ﷺ অথবা সালাফে সালেহীন থেকে বর্ণিত দোয়া পাঠ করার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে কোন বিপদ থেকে মুক্তি চাওয়া কিংবা রোগ থেকে আরোগ্য কামনা করা।” একদম সহজে বললে, রুকইয়াহ হলো বদনজর, জ্বীন, যাদু ইত্যাদি প্যারানরমাল সমস্যার পাশাপাশি কিছু শারিরীক-মানসিক রোগের জন্য ইসলাম সম্মত ঝাড়ফুক। এই চিকিৎসায় সাধারণত কুরানের আয়াত ও হাদীসে বর্ণিত দুয়া পড়ে সরাসরি ঝাড়ফুঁক করা হয়, অথবা পানি, মধু, তেল ইত্যাদিতে ফুঁ দিয়ে ব্যবহার করতে বলা হয়।
রাকীকে দিয়ে রুকইয়াহ করানো ছাড়া নিজের বা পরিবারের জন্য নিজেই রুকইয়াহ করা যায়। আর এটাকেই সেলফ রুকইয়াহ বলে।
না। আগের কবিরাজ, তান্ত্রিক, জিনহুজুর ইত্যাদির কাছে যাওয়ার জন্য তওবা করে আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে, তদবিরের জিনিসপত্র ও তাবিজকবচ সব নষ্ট করে এরপর রুকইয়াহ শুরু করবেন।
একটা পাত্রে পর্যাপ্ত পানি নিয়ে সিহরের আয়াত ও তিনকুল ৩বার করে পড়ে ফুঁ দিন। এরপর তাবিজ বা জাদুর জিনিস একত্র করে সেখানে ডুবিয়ে রাখুন। তাবিজের থেকে কাগজ, সুতা, পিন ইত্যাদি বের করুন, সব গিট কেটে ফেলুন, কাগজ ছিঁড়ে ফেলুন। এরপর সব ভালোভাবে পানিতে ডুবিয়ে নষ্ট করুন। সবশেষে এগুলো পরিত্যক্ত স্থানে ফেলে দিন। আর সম্ভব হলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলুন। জাদুর জিনিস খালি হাতে ধরবেন না, আর নষ্ট করার সময় বারবার সুরা ফালাক-নাস পড়ুন।
সুরা আরাফ ১১৭-১২২, সুরা ইউনুস ৮১-৮২ এবং সুরা ত্বহা ৬৯নং আয়াত – এগুলোকে সিহরের আয়াত বলে। এর সাথে সুরা বাকারা ১০২নং আয়াতও পড়া যায়।
আয়াতে শিফা মোট ৬টি। সূরা তাওবাহ ১৪, ইউনুস ৫৭, নাহল ৬৯, বনি ইসরাইল ৮২, শু’আরা ৮০, হা-মিম সাজদা ৪৪নং আয়াত।
আয়াতুস সাকিনা মোট ৬টি। সূরা বাকারা ২৪৮, সূরা তাওবা ২৬ এবং ৪০, সূরা ফাতহ ৪, ১৮ এবং ২৬নং আয়াত।
প্রসিদ্ধ যেসব আয়াত দিয়ে সাধারণভাবে সব রোগব্যাধি ও সমস্যার জন্য রুকইয়াহ করা হয়, সেগুলোকে রুকইয়ার কমন আয়াত বলে। কমন আয়াতগুলোর পিডিএফ উল্লেখিত ডাউনলোড পেজে পাওয়া যাবে। আর এগুলোর রেকর্ড শুনতে চাইলে অডিও ডাউনলোড পেজে “বিভিন্ন ক্বারিদের সাধারণ রুকইয়াহ” অংশে পাবেন।